প্রকাশিত: Sun, Feb 12, 2023 4:46 PM
আপডেট: Fri, Jun 27, 2025 7:47 AM

কানাডার শহীদ দিবস, একুশ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

মঞ্জুরে খোদা টরিক : লুটেরা ও বেগমপাড়া বিরোধী সামাজিক আন্দোলনে আমাদের প্রধান অঙ্গীকার ছিল প্রবাসের চিহ্নিত লুটেরা-অর্থপাচাকারীদের সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিকভাবে বয়কট করা। এ সব কাজে আমরা তাদের কোনো ধরনের অংশগ্রহণ সমর্থন করবো না। আমরা একে আমাদের আন্দোলনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছিলাম। সেই পরিস্থিতিতে গতবার আমরা বলেছিলাম, নবনির্মিত শহীদ মিনারে যদি আমরা যাব, তাহলে আমরাই সেখানে থাকবো। লুটেরা ও তার সহযোগীরা সেখানে থাকবে না। আর আমরা যদি না যাই, তাহলে ওই শহীদ মিনারে কতিপয় লুটেরা আর তার সহযোগীরাই কেবল থাকবে, অন্যরা থাকবে না। আমরা আমাদের সে বাজি শেষ অবধি বজায় রেখেছিলাম এবং লুটেরাদের অংশগ্রহণের সে সব কাঠামো-ছক তছনছ করে দিয়েছি। সুতরাং ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি/ফাগুনে কানাডার টরন্টোর একুশ উদযাপন নিছক ফুলের উৎসব ও একুশের গান নয়। তার চেয়ে বেশি কিছু, বাড়তি কিছু। 

আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা যে গৌরব ও মর্যাদা অর্জন করেছিলাম একুশের কোনো কাঠামো, অনুষ্ঠান, আয়োজনে লুটেরাদের বহিষ্কার করতে না পারলে আমাদের সে অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ হতো, থাকতো। এখানেই কানাডার ‘শহীদ দিবস, একুশ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন’ অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে স্বাতন্ত্র ও ভিন্ন। ভাষার অধিকার সাক্ষর সংগ্রহ করে, আবেদন-নিবেদন করে আসেনি। এই শহীদ মিনার কারো করুণায়, দয়ায় তৈরি হয়নি। শহীদ মিনার তৈরি হয়েছে, প্রবাসীদের বিপুল শানিত চেতনা বোধে ও অন্যায় প্রতিরোধে। শহীদ মিনার বিদেশের মাটিতে হলেও-করলেও তার রং, চেতনা, ইতিহাস, ঐতিহ্য, মূল্যবোধ, সংগ্রাম আলাদা হয়ে যায় না। পুঁথি পাঠের চেয়ে দেয়ালের ভাষা বুঝতে পারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তার অক্ষমতায় অনেক মূল্য দিতে হয়। এটাই ইতিহাসের শিক্ষা। হৃদয়ে আমার সাগর দোলার ছন্দ চাই, অশুভের সঙ্গে আপোসবিহীন দ্বন্দ্ব চাই। একুশের প্রথম প্রহরে আপনাকে আমন্ত্রণ...। লেখক ও গবেষক